হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের কোম শহরের হাওজায়ে ইলমিয়ায়ে মিশকাতে তালিবে ইলমদের আমামা পরিধান অনুষ্ঠানটি হাওজায়ে ইলমিয়ার উচ্চ পরিষদের সেক্রেটারি আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ মাহদী শাব জিন্দেহদার এবং দফতরে রাহবারে মুআজ্জাম ইনিকিলাব কোমের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মাহমুদ মুহাম্মাদী ইরাকীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
হাওজায়ে ইলমিয়ার উচ্চ পরিষদের সেক্রেটারি তার বক্তৃতার শুরুতে তালিবে ইলম এবং রুহানিয়াতের মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তালিবে ইলম হওয়ার অর্থ ইসলাম এবং ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর খেদমত করা। এই পোশাক এবং আমামা দ্বীন এবং সমাজের প্রতি আমাদের বড় দায়িত্বের প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, তালিবে ইলম এবং রুহানী ব্যক্তিদের সর্বদা মনে রাখা উচিত যে এই পোশাক ইসলামের খেদমতের পোশাক এবং কখনও দুনিয়া এবং তার চাকচিক্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত নয়।
তিনি তার বক্তৃতার সময় ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর একজন খাদেমের একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর সময়ে খোরাসানের একজন ধনী ব্যক্তি ইমামের খাদেমকে প্রস্তাব দেয় যে সে তার সমস্ত সম্পদ তাকে দেবে শর্ত থাকে যে সে ইমাম সাদিক (আ.)-এর খেদমতের সুযোগ তাকে দেবে। খাদেম প্রথমে খুশি হয় কিন্তু যখন সে এই বিষয়টি ইমাম (আ.)-এর কাছে উল্লেখ করে তখন ইমাম (আ.) বলেন, “(ইসলাম ও ইমাম আলাইহিমুস সালামের খেদমত) কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আহলে বাইত (আ.) ইলাহী ফয়েযের মাধ্যম হবে। তুমি কি এই মর্যাদা দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে দিতে চাও?” খাদেম তৎক্ষণাৎ তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং বুঝে যায় যে আহলে বাইত (আ.)-এর খেদমত দুনিয়ার সম্পদ থেকে অনেক বেশি মূল্যবান।'
আয়াতুল্লাহ শাব জািন্দেহদার এই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তালিবে ইলমদের বলেন, আহলে বাইত (আ.)-এর খেদমত এবং ইসলামী আদর্শ ও শিক্ষা প্রচারের জন্য চেষ্টা করা একজন তালিবে ইলমের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান। এই পোশাক ইসলামের খেদমতের পোশাক তাই দুনিয়া এবং তার চাকচিক্যের প্রতি কখনও আকৃষ্ট হওয়া উচিত নয়।
আপনার কমেন্ট